হরিতকী



হরিতকী
প্ৰচলিত নাম : হরিতকী (Chebulic myrobalan)
বৈজ্ঞানিক নাম : Terminalia chebula Rety.
ব্যবহৃত অংশ : ফল বা ফলত্বক
প্ৰধান কাজ : পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক, হজমকারক, পেটিফাঁপা কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী
যে সমস্ত রোগে কার্যকর
হজমশক্তি বৃদ্ধি পেট ফাঁপায় - গ্রাম খােসাচুর্ণ সামান্য পরিমাণ বিট লবণ বা কালাে লবণ মিশিয়ে আহারের পর দিনে বার সেবন করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় পেটিফাঁপা কমে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যে - গ্রাম খোসাচুর্ণ সমপরিমাণ চিনি মিশিয়ে রাতে গরম পানিসহ সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
কোলেস্টেরল কমাতে ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকি, হরিতকী বহেড়া এর প্রতিটির সমপরিমাণ গুড়ার শরবত কোলেস্টেরল কমাবার অর্থাৎ প্রেসার বা রক্তচাপ কমাবার মহৌষধ। ত্রিফলা কোলেস্টেরল কমাবার ক্ষেত্রে অনেক বেশী ফলপ্রসু। বলা হয়েছে দ্রব্য গুণের দিকে দিয়ে হরিতকীই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে আমলকি এবং তৃতীয় স্থানে বহেড়া। সম্প্রতি আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে বলা হয়েছে ত্রিফলা শুধু মাত্রা কোলেস্টেরলই কমায় না। বরং এতে প্লীহা যকৃতেরও বিশেষ উপকার হয়।
প্ৰসূতির কোষ্ঠকাঠিন্যে সন্তান প্রসবের পর প্রসূতির কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমে হরিতকী খোসা পানিতে সিদ্ধ করে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়
শোথরোগে গ্রাম খোসাচুর্ণ - চা চামচ গুলঞ্চের রসসহ দিনে - বার সেবন করতে হবে। হিকায় গ্রাম খোসাচুর্ণ গরম পানিসহ দিনে - বার সেবন করলে হিক্কা দূর হয়
যে তকীকে (রোগকে) হরণ করে তার নাম হরিতকী

অৰ্শরোগে - গ্রাম হরিতকী চূর্ণ সমপরিমাণ ঘোলের সাথে একটু সৈন্দব লবণসহ সেবনে অৰ্শরোগ দূর হয়।
হাঁপানি রোগে হরিতকীর মোটা চূৰ্ণ সিগারেটের পাইপে ভরে বা বিড়ির মত পাকিয়ে আগুন ধরিয়ে ধোঁয়া টানলে হাঁপানী রোগ আরোগ্য হয়।.
 স্বরভঙ্গে মুথা হরীতকীর চূর্ণ মধুর সাথে মিশিয়ে চোেট খেলে স্বর স্বাভাবিক হয়। যোয়ানের সাথে মিশিয়ে খেলেও একই কাজ হয়।
 অন্যান্য এছাড়া হরিতকী ফল সংকোচক, হজমকারক, জীবাণুনাশক, দাস্ত পরিষ্কারক, মূত্র বৃদ্ধিকারক পাকস্থলীর বায়ুনাশক। এটি নিরাপদ কার্যকর রেচক, ঘা শুকায়, সাধারণ ফোলা কমায় এবং চর্ম চোখের রোগ ভাল করে। মিহি গুড়া দাঁতের মাজন হৃদপিন্ডের টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়
সেবনবিধি
হরিতকী চূর্ণ - গ্রাম।
হোমিও প্যাথি ১০-১৫ ফোটা সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে দিনে - বার সেবন করতে হবে। ১০/১২ ফোঁটা ঈষৎ উঞ্চ এক কাপ পানিতে মিশ্রিত করে মুখ ধৌত করলে, বার কয়েক কুলকুচা করলে মুখের দুৰ্গন্ধ দূর হয় এবং মুখের বিষাদ ভাব দূর হয়, মুখে রুচি আনে
সতর্কতা
নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা উচিৎ না। এতে অন্ত্রনালীর ক্ষতি হতে পারে

সকালে হাঁটা শরীরে টনিক হিসেবে কাজ করে

No comments:

Post a Comment