উদ্ভিদের নাম : পুদিনা Pudna
স্থানীয় নাম :
পুদিনা
ভেষজ নাম : Menha spicata
স্থানীয় নাম : Mint, nana।
প্রজাতি: M. spicata
ব্যবহার্য অংশ : মূল পাতা কান্ড সহ
সমগ্র গাছ
রোপনের সময় : বছরের যে কোনো সময়ে
রোপন করা যায়।
আবাদী/অনাবাদী/বনজ : আবাদি আনাবাদি ও বনজ সব ধরনের হয়ে
থাকে। ভিজা পরিবেশে এবং আর্দ্র মাটি সবচেয়ে ভালো জন্মে. কান্ড সহ গাছটি ১০ থেকে
১২০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়।
চাষ: ডাল ভেজা বা আদ্র মাটি পুতে
রাখলেই এ গাছ জন্মে।
পরিচিতি: ছোট গুল্ম জাতীয় গাছ। বহু
বর্ষজীবী পাতা ডিম্বাকৃতি, সুগন্ধী যুক্ত। সবুজ।
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। পুদিনা পাতায় ৪০-৯০% মেনথল তেল পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন পারফিউম, টুথ পেষ্ট, স্যম্পু ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।
পুদিনা পাতায় আছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি। তাই এই পাতা আমাদের ত্বকের জন্য দারুন উপকারী। সানট্যানের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। পুদিনা পাতায় ৪০-৯০% মেনথল তেল পাওয়া যায়। যা বিভিন্ন পারফিউম, টুথ পেষ্ট, স্যম্পু ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।
পুদিনা পাতায় আছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি। তাই এই পাতা আমাদের ত্বকের জন্য দারুন উপকারী। সানট্যানের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
ঔষধি গুনাগুন :
পুদিনা রুচিজনক
অগ্নিবর্ধক, মুখের জড়তা নাশক, কফ ও
বাত নষ্টকরে, বলকর, বমন ও
অরুচিনাশক, জীবানু নাশক,জীর্ণতার
সহায়ক, বায়ুবিকারে ঊপশামক, প্রস্রাব
কারক, বমন নিবারক, অরুচি,
হিক্কা, জ্বর ও জরান্তিক দুর্বলতা,
ব্রঙ্কাইটিস, বাত ইত্যাদিতে ব্যবহার্য্য।এটিকে
দিয়ে সুস্বাদু খাদ্য ও পানীয় প্রস্তুত করা হয়। পাতার সঙ্গে অম্ল মিশিয়ে চাটনী
উপাদেয় খাদ্য। এটি অরুচি নষ্ট করে ক্ষুধা বাড়ায়। মুখে দুর্গন্ধ হলে পাতার রস
পানিতে মিশয়ে কুলি করলে কাজ হয়।
অরুচিতে: রোগে ভোগার পর, পেটে বায়ু জমে ও কোষ্ঠ বদ্ধতায় অরুচি আসে। একই রকম খাদ্য দীর্ঘদিন খেলে
অরুচি আসে। এ সব ক্ষেত্রে পুদিনার সরবত ( পুদিনার রস ২ চা চামচ, সামান্য লবন, কাগজী লেবুর রস ৮/১০ ফোঁটা,
হাল্কা গরম পানি পোয়া খানিক একত্রে মিশিয়ে ) সকাল বিকাল দিনে দুই
বার ৫/৭ দিন খেলে অরুচি চলে যায়। পুদিনা পাতা বেটে পানিতে গুলে শরবত করা যায়। সে
ক্ষেত্রে কাঁচা পাতা ৮/১০ গ্রাম নিতে হবে।
পেট ফাঁপায়: সহজ
কথায় পেটে বায়ু জমে যাওয়া। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে নানান রোগ হোতে পারে। বদ হজমের ফলে
পেটে বায়ু জমে এবং পেট ফাঁপে। এ ক্ষেত্রে পুদিনার শরবত উপরিউক্ত পদ্ধতিতে সারাদিন
২-৩ বার করে কয়দিন খেলে পেটে বায়ু জমা বন্ধ হবে। খাদ্যে রুচিও ফিরে আসবে।
বমিতে: পিত্তে
শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশা,
অজীর্ণ, উদরশূল, প্রভৃতিতে বমি হতে পারে। আবার রোদে ঘোরাফিরা করে ঠাণ্ডা পানি খেলে,
খালি পেটে থেকে পরিশ্রম করলে বমি হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পুদিনার
শরবতের সাথে এক চা চামুচ তেঁতুল মাড় ও চিনি মিশিয়ে ২/৩ বার করে কয়দিন খেতে হবে।
মুত্রাল্পতায়:
অনেক রোগে প্রস্রাব কম হয়। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ঠান্ডা গরমের ফলে সাময়িক ভাবে অল্প
অল্প প্রস্রাব হতে থাকে কোনো কোনো সময় দাহ হতে থাকে, সে ক্ষেত্রে
পুদিনা পাতা ৮/১০ গ্রাম বেটে তাতে সামান্য লবন ও কাগজী লেবুর রস ঠান্ডা পানি
মিশিয়ে শরবত করে দিনে ২/৩ বার খেতে হবে। অন্য কোনো রোগে মূত্রাল্পতা হলে
সেক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটা নির্ভর করবে রোগের ধরনের ঊপর এবং
চিকিৎসকের বিচার ধারার উপর।
শিশুদের অতিসারে:
পাতলা দাস্ত, সেই সাথে পেট মোচড় দিয়ে ব্যথা, কোন কোন ক্ষেত্রে অল্প আম –সংযুক্ত দাস্ত, সেই সাথে পেট ফাঁপা, হিক্কা বমি বমি ভাব, প্রস্রাবও সরলি হচ্ছেনা,
শিশু কিছুই খেতে চাচ্ছেনা। এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস্ ৮/১০
ফোঁটা আল্প একটু চিনি ও লবন সহযোগে এক ঘন্টা অন্তর কয়েকবার খাওয়াতে হবে। কখন কি
ভাবে কতবার খাওয়াতে হবে সেটা নির্ভর করবে রোগীর সুস্থতার ক্রমের দিকে লক্ষ রেখে।
বয়স আনুপাতে মাত্রাটা ঠিক করে নিতে হবে।
অ্যাজমা : পুদিনায়
রোজমেরিক এসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাকপ্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা
দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এছাড়াও এ ঔষধি প্রোস্টসাইক্লিন তৈরিতে বাধা দেয়। তাতে
শাসনালী পরিষ্কার থাকে।
এন্টিক্যান্সার :
পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং
প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঘাম নিয়ন্ত্রনে: যাদের শরীরে বেশি
ঘাম হয় তারা পুদিনা পাতা ও গোলাপের পাপড়ি একসাথে মিশিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা
হলে সেই পানির সাথে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে বোতলে করে ফ্রিজে রেখে দিন।
গোসলের পর সারা শরীরে লাগান। ঘাম কম হবে।
হজমের সমস্যা সমাধানে পুদিনা
পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং
ফাইটোনিউরিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুণ যা পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব
দ্রুত। যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভুগে
থাকেন তারা খাবার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা
পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরে।
মাথা ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা দূর করতে
পুদিনা
ব্যথা নাশক যে সকল ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় তার
সবগুলোতেই পুদিনা পাতার ব্যবহার রয়েছে। এর কারন হচ্ছে পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষণিক
ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতর দিয়ে নার্ভে পৌঁছে
নার্ভ শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা উপশমে পুদিনা পাতা
ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু
পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে লেপ দিতে পারেন।
দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা সমাধানে পুদিনা
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাধানে ভরপুর পুদিনা পাতা দাঁত এবং মাড়ির যে কোন সমস্যা
সমাধানে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার রস মিশ্রিত পানি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচা করার
অভ্যাস করলে দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এছাড়া মাড়ির ইনফেকশন
জনিত সমস্যা দূর করতে তাজা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যা উপশমে পুদিনা
পুদিনা পাতার রস শ্বাসপ্রশ্বাসের নালী খুলে
দেয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পরেন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক
উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পরলে
পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস
তৈরি করুন।
দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে
পুদিনা পাতায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন
সি, ডি, ই এবং
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যারা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সমস্যায় ভুগেন তারা
নিয়মিত পুদিনা পাতা খাবার অভ্যাস করুন। সালাদ কিংবা অন্যান্য রান্নায় পুদিনা পাতা
ব্যবহার করুন। খেতে পারেন পুদিনা পাতার শরবত। দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত হবে।
পেটের পীড়ায়: এটি ইরেটেবল বাওয়েল
সিন্ড্রোম [ আইবিএস ] এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এছাড়াও
পুদিনা কোলনের পেশী সংকোচন নিয়ন্ত্রন করে।
১. পুদিনার তাজা পাতা
পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তা হলে মুখের তৈলাক্ত
ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।
২. পুদিনার পাতা পিষে
রস করে তার ভেতর দু’তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে তা পান
করলে ক্লান্তিভাবও দূর হয়।
৩. কোনো কারণে কোনো
ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন, জ্ঞান ফিরে পেয়েছে
লোকটি।
৪. পুদিনার পাতা ভালো
করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করেন। যাদের চুলে উকুন আছে, তারা খুব
উপকার পাবেন।
৫. শরীরের ব্যথা দূর
করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়।
৬. মাথা ও পেট ব্যথা
নিরাময়েও পুদিনার পাতা খুব উপকারী।
৭. যাদের মাঝে মধ্যে হেঁচকি
ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান
করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
অনিয়মিত
পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতেও এটি সাহায্য করে। এর ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়েদের
জন্য খুবই উপকারী।
৮. কফ-কাশিতে আমরা
সাধারণত এক্সপেক্টোরেন্ট জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকি। এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ হলো গলা
থেকে কফ বের করে দেয়া। কিন্তু এর একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এসব ওষুধ
খেলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। তাই এর বিকল্প হিসেবে আপনি পুদিনা পাতার সাহায্য নিতে
পারেন। গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে পান করুন। পুদিনা পাতা
এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ করবে। বোনাস হিসেবে আপনি পেতে পারেন আরো একটি বড় ধরনের
উপকার। আর তা হলো পুদিনা পাতা আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে।।
৯.গরমে
ত্বকের জ্বালাপোড়া ও ফুসকুরি সমস্যায় কয়েকটি পুদিনার পাতা চটকে গোসলের পানিতে মিশিয়ে
গোসল করলে ভালো কাজ হয়।
১০.মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে
পুদিনা পাতা পানির সাথে মিশিয়ে কুলি করুন।উপকার পাবেন।
১১.পুদিনা পাতা হজম শক্তি
বাড়ায়,মুখের অরুচি ও গ্যাসের সমস্যা দুর করে,কর্মক্ষমতা
বৃদ্বি করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে।
গরমে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও ফুসকুরি
সমস্যায় কয়েকটি পুদিনার পাতা চটকে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে ভালো কাজ
হয়।
১২.মুখের দুর্গন্ধ দুর
করতে পুদিনা পাতা পানির সাথে মিশিয়ে কুলি করুন।উপকার পাবেন।
১৩.পুদিনা পাতা হজম শক্তি বাড়ায়,মুখের
অরুচি ও গ্যাসের সমস্যা দুর করে,কর্মক্ষমতা বৃদ্বি করে
ও শরীর ঠান্ডা রাখে।
১৪.
পুদিনাপাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে মাজন বানিয়ে দাত মাজলে মাড়ি থাকবে সুস্থ,দাত
হবে শক্ত ও মজবুত।
১৫. দীর্ঘদিন রোগে ভুগলে বা
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে অনেক সময়
অরুচি হয়।এক্ষেত্রে পুদিনা পাতার রস ২ চা চামচ,কাগজি লেবুর রস ৮-১০ ফোটা,লবণ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে
সকাল বিকাল ২ বেলা খান।এভাবে ৪-৫ দিন খেলে অরুচি দুর হয়ে যাবে।
১৬. রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে
পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসঙ্গে
মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
১৭. ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। নতুন কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেকের মাঝেই দাগ দূর হবে।
১৭. ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। নতুন কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেকের মাঝেই দাগ দূর হবে।
১৮. পুদিনার শেকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই
কার্যকরী, এমনকি পাতাও। পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস
চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায়
পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল
হবে উকুনমুক্ত।
১৯.পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
১৯.পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
২০. গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে
তোলে।
২১. পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী গুনাগুণ যা
পেটের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যারা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের অন্যান্য সমস্যায়
ভুগে থাকেন তারা খাবার পর এককাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম পানিতে
ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি
করতে পারেন ঘরে।
২২. শরীর ঠাণ্ডা রাখার একটি বিশেষ গুণ পুদিনার মধ্যে আছে। গোসলের কিছুক্ষণ আগে পানির মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই পানিতে গোসল করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। এ ছাড়া কয়েক ফোটা পুদিনার তেল পানির মধ্যে মিশিয়েও গোসল করতে পারেন।
২২. শরীর ঠাণ্ডা রাখার একটি বিশেষ গুণ পুদিনার মধ্যে আছে। গোসলের কিছুক্ষণ আগে পানির মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই পানিতে গোসল করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। এ ছাড়া কয়েক ফোটা পুদিনার তেল পানির মধ্যে মিশিয়েও গোসল করতে পারেন।
২৩. পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে
পুদিনার পানি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি
পানিতে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এর ফলে গরমকালে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জনিত বিশ্রী
দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাবেন, কেননা পুদিনার অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট গুণ অতুলনীয়। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।
২৪. পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতর দিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভ শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা উপশমে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।
২৪. পুদিনা পাতার রস তাৎক্ষণিক ব্যথানাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। পুদিনা পাতার রস চামড়ার ভেতর দিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভ শান্ত করতে সহায়তা করে। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা উপশমে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।
পুদিনা পাতার চাষ
চাষ কৌশল: যে সব তেলের
কন্টেইনার ফেলে দেয়া হয়, সেগুলো সংরক্ষণ করে খুব সহজেই চাষ
করা যায় পুদিনা পাতার গাছ। এজন্য কন্টেইনারে শুকনো গোবর বা ফেলে দেয়া চা-পাতার
সাথে দো-আঁশ মাটি ভালভাবে মেশাতে হবে। সেক্ষেত্রে গোবর ২কেজি, দো-আঁশ মাটি ৪ কেজি হারে মেশালে ফলাফল ভাল পাওয়া যাবে। ওই মিশ্রন থেকে প্রতিটি টব বা কন্টেইনারে ৩ থেকে ৪কেজি মিশ্রন
স্থাপন করে পুদিনা পাতার গাছ লাগাতে হবে। অনেক নার্সারিতে পুদিনা পাতার গাছ পাওয়া
যায়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই গাছের একটি পুরানো ডাল
শিকড়সহ কেটে টবে বা কন্টেইনারে রোপন করলেই কিছুদিনের মধ্যে ওই পাত্র পুদিনা পাতার
গাছে ভরে যায়। তাই প্রথমদিকে ২/৩টি গাছ সংগ্রহ করলে আর কখনও চারার জন্য অন্য
জায়গায় যেতে হয় না। কন্টেইনারে বা টবে লাগানো গাছগুলো প্রয়োজনে তার দিয়ে বেঁধে বারান্দায়
ঝুলিয়ে রাখা যায় অথবা ছাদেও এর চাষ করা যায়। যারা শহরে থাকেন তারা ছাদে, বরান্দায় এবং বেলকনিতে এর চাষ করতে পারেন।
অন্যান্য ব্যবস্থাপনা: পুদিনা
গাছের তেমন কোন যত্নের দরকার হয় না। তবে ২/৩ দিন পরপর সামান্য পানি দিতে হয়।
এই গাছে সূর্যের আলোর তেমন প্রয়োজন হয় না তাই ডেকোরেশন প্লান্ট হিসেবে ঘরের
মধ্যেও টবে লাগানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে টবগুলো বাইরে এনে গাছের
গোড়ার মাটিগুলো আলগা করে দিতে হবে। লাগানো পাত্রের নীচে ২/৩টি ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে
যাতে করে বাড়তি পানি পড়ে যায় এবং অক্সিজেনের ঘাটতি পুরণ হয়। এ ছাড়াও
ছাদের কোন এক স্থানে পলিথিন বিছিয়ে তার চারপাশে ইট অথবা বেড়া দিয়ে তারমধ্যে গোবর বা
চা-পাতা মিশ্রিত মাটি দিয়েও পুদিনা পাতার চাষ করা যায়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেও
এই পাতা থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এগ্রোবাংলা ডটকম
বানিজ্যিকভাবে পুদিনাপাতার চাষ বাংলা, হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, তেলেগু, তামিল সব ভাষাতেই এর এক নাম
পুদিনা। এটা সুগন্ধিগাছগুলোর মধ্যে অন্যতম। ছড়ার মধ্যেও বাজার থেকে পুদিনাপাতা
কেনার ফরমায়েশ পাওয়া যায় ‘পুদিনা আনিও, পান আনিও’। খাদ্যকে সুরেচক করতে পুদিনাপাতার কোনো
জুড়ি নেই। শহরাঞ্চলে দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। সুদূর অতীত থেকে এ দেশে
পুদিনাপাতার চাষ হয়ে আসছে। কিন্তু সেটা বিজ্ঞানভিত্তিক চাষ নয়, কোনোভাবে বাড়ির আঙিনায় দু-চারটা গাছ লাগিয়ে পারিবারিকভাবে ব্যবহার করা।
আজকাল বাজারে আঁটি আঁটি পুদিনাপাতা সারা বছর বিক্রি হচ্ছে। তাই পুদিনাকে শুধু
বাড়ির আঙিনায় আটকে রাখা ঠিক হবে না। চাইলে অন্য ফসলের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে
লাভবান হওয়া যাবে। বিদেশেও পুদিনাপাতার চাহিদা আছে। রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা
আয়েরও সুযোগ হতে পারে। পুদিনাপাতার ওপর ভিত্তি করে স্খাপিত হতে পারে পিপারমেন্ট
অয়েল উৎপাদন শিল্প।
গাছ পরিচিতি : পুদিনা একটি সাধারণ আগাছা ধরনের গাছ।
কাণ্ড ও পাতা বেশ নরম। কাণ্ডের রঙ বেগুনি, পাতার রঙ সবুজ। পাতা
ডিম্বাকার, পাতার কিনারা খাঁজকাটা। পাতা কিছুটা রোমশ
ও মিন্টের তীব্র গìধযুক্ত। গাছের নিচের অংশ থেকে
অনেক ধাবক বের হয়। পুদিনাপাতার গাছ লেবিয়েটিসি পরিবারের মেন্থা গনের অন্তর্গত। এ গনের তিনটি
প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে গপষয়ভথ থড়ংপষঢ়মঢ় এ দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশে ভালো জন্মে। জাপানি জাত
চাষের জন্য ভালো।
ব্যবহার : পুদিনাপাতার গাছ থেকে পিপারমেন্ট তেল তৈরি হয়। তেল
বেশ মূল্যবান। বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রী বিশেষ করে টুথপেস্ট, মিন্ট চকোলেট ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়। ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১০ টন পিপারমেন্ট
তেলের শিল্প চাহিদা রয়েছে বলে জানা যায়। এই পরিমাণ তেল উৎপাদনের জন্য ১০ হাজার একর জমিতে
পুদিনা উৎপাদন করতে হয়। কিন্তু উৎপাদন অনেক কম হওয়ায় প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার
পিপারমেন্ট অয়েল তাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম
নয়। এ দেশের বাজারে মূলত কাঁচা পুদিনাপাতার চাহিদাই বেশি। প্রতি বছর আমাদের দেশে
প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিক টন কাঁচা পুদিনাপাতার চাহিদা রয়েছে। পুদিনা এ দেশে চাষ
হয় মূলত চাটনি, সালাদ আর বোরহানি বানানোর
জন্য। এর যে আরো অনেক ব্যবহার আছে সেটাই হয়তো আমরা জানি না। কাঁচা পুদিনাপাতার
সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় চাটনি ও সালাদে। ইদানীং বিভিন্ন পার্টিতে টক দইয়ের বোরহানি তৈরির জন্য
পুদিনা পাতার ব্যবহার বেড়েছে। এ ছাড়া মাছ, গোশত, সস, স্যুপ, চা, তামাক, শরবত ইত্যাদি সুগìিধ করতে পুদিনাপাতা ব্যবহার
করা হয়। ইউরোপের দেশগুলোতে ভেড়ার গোশতের রোস্ট ও মিন্ট জেলি তৈরি করতে পুদিনাপাতা ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন দেশে পুদিনার বেশি ব্যবহার তেল তৈরিতে। গাছে যখন ফল আসে তখনই পাতায় তেলের
মাত্রা বাড়ে। ওই সময় গাছ তুলে পাতন প্রক্রিয়ায় তেল নিষ্কাশন করা হয়। গাছের নিচের
পাতা হলদে হওয়া শুরু করলেই কাটিং নিয়ে তেল নিষ্কাশন করা হয়। মৌসুমে একই গাছ থেকে দু’বার কাটিং সংগ্রহ করা যায়। কাটিংগুলোকে ছোট ছোট আঁটি বেঁধে ঝুলিয়ে শুকানো
হয়। কাঁচা পাতার চেয়ে শুকনো পাতা থেকে তেল নিষ্কাশন সহজ ও সস্তা।
চাষাবাদ : কাটিং
বা তেউড় লাগিয়ে চারা তৈরি করা হয়। পুরনো ক্ষেত থেকে কাটিং নিয়ে হাপরে
বসিয়ে চারা তৈরি করে নিতে হবে। কাটিংয়ের দৈর্ঘ্য হবে ১০ সেন্টিমিটার। জমিতে চারা
রোপণের সপ্তাহখানেক আগে চারা তৈরি করতে হবে। প্রতি হেক্টর জমি চাষের সময় মাটির সাথে ১০
থেকে ১৫ টন গোবর বা জৈবসার মিশিয়ে দিতে হয়। জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা
করার পর চারা রোপণের আগে ৪৫-৫০ সেন্টিমিটার চওড়া করে বেড তৈরি করতে হয়। বেডের
উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেন্টিমিটার। প্রতি বেডের মাঝে নালা থাকবে। বেডের দৈর্ঘ্য
জমির আয়তন অনুসারে কম-বেশি হতে পারে। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য বেডের আকার একটু
অন্য রকম হবে। এ ক্ষেত্রে বেড ১ মিটার চওড়া ও ৪৫ মিটার লম্বা হবে। এ পরিমাণ
জমির জন্য গোবর বা কম্পোস্ট সার লাগবে ২০ ঝুড়ি (২০০ কেজি), হাড়ের গুঁড়া ৫ কেজি, টিএসপি সার ১-১.৫ কেজি, কাঠের ছাই ৫ কেজি অথবা এমওপি সার ১ কেজি। এসব সার বেড তৈরির
সময় বেডের মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। বর্ষার আগে ও পরে চারা রোপণের নিয়ম। সে
অনুযায়ী জুন অথবা অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পুদিনার চারা রোপণ করা যেতে পারে। বেডে ৩০
সেন্টিমিটার পরপর চারা রোপণ করা যেতে পারে। চারা রোপণের পর সেচ দিতে হবে।
প্রতি দুই মাস পরপর প্রতি বর্গমিটারে ২০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ
করতে হবে। গাছ লম্বা হতে শুরু করলে ১০ সেন্টিমিটার মাপের কাটিং বা ডাল কেটে ১০-১৫টি
ডাল একটি আঁটিতে বেঁধে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠাতে হবে। প্রতি দু’বার কাটার পর একই নিয়মে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার দেয়ার
পর সেচ দিতে হবে। বাণিজ্যিক জমিতে চারা রোপণের ১০-১২ সপ্তাহ পর থেকে প্রতি মাসে
একবার করে প্রতি বর্গমিটারে ২০ গ্রাম করে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করে যেতে হবে। -
Source
infokosh.gov.bd
dainikamadershomoy.com
shobujbanglablog.net
shobdoneer.com/
healthprior21.com/
No comments:
Post a Comment