বচ

বচ

প্রচলিত নামঃ বচ (Sweet flag)

বৈজ্ঞানিক নামঃ Acorus catamus L.

ব্যবহৃত অংশঃ রাইজোম (রুপান্তরিত কাণ্ড)।

প্রধান কাজঃ হজম শক্তি বৃ্দ্ধিকারক,প্রস্রাবের বেগ ও বাত ব্যথায় কার্যকর।

যে সমস্ত রোগে কার্যকর

হজমশক্তি হ্রাস ও পেটফাঁপায় ১ গ্রাম রাইজোম সমপরিমান জৈন ও কালো লবণ মিশিয়ে আহারের পর দিনে ২ বার পানিসহ সেবন করতে হবে.১৫-২০ দিন নিয়মিত সেবন করে যেতে হবে।

শ্বাসকষ্টে ৫০০ মিঃগ্রাঃ রাইজোম দিনে ২-৩ বার মধুর সাথে মিশিয়ে চেটে খেতে হবে। ১৫-২০ দিন সেবনে ভাল ফল পাওয়া যায়।

ঘনঘন মূত্রত্যাগ ২৫০ মিঃগ্রাঃ রাইজোম চূর্ণ দিনে ২ বার মধুসহ চেটে চেটে খেতে হবে। প্রয়োজনবোধে ৫০০ মিঃগ্রাঃ করতে হবে।১-২ মাস সেবন করা আবশ্যক।

গলাব্যথা ও কাশিতে ৫০০ মিঃগ্রাঃ রাইজোম সমপরিমান শুঁঠ (শুকনো আদা) চূর্ণ মিশিয়ে মধুসহ দিনে ২-৩ বার সেবন করতে হবে।

মেধাবৃদ্ধিতে ২৫০ মিঃগ্রাঃ বচ ঘৃত বা মধুসহ বেটে খেলে মেধাবৃদ্ধি পায়।
আমবাত বচ বেটে প্রলেপ দিলে ফলা ও ব্যথা প্রশমিত হয়।

কানের সমস্যায় কানের ভিতর ভোঁ ভোঁ শব্দ বা যন্ত্রণা হলে বচ এর রস কানে দিলে
যন্ত্রণা লাঘব হয়।

অর্শ রোগে অর্শ রোগে মলদ্বারে ব্যথা থাকলে বচ পুড়িয়ে ধোঁয়া দিলে ব্যথা কমে যায়।

অন্যান্য বচ বায়ুনাশক,উত্তেজনা রোধ করে এবং বেদনানাশক ও কাশি পরিস্কারক হিসেবে কাজ করে।এর জলীয় নির্যাস ডায়রিয়া, পেট ফাপা,অরুচি এবং হাঁপানি ও ব্রংকাইটিসের চিকিৎসায় খুব কার্যকর।বচ মুখে রাখলে মুখ গরম হয়,লালা নির্গত হয় এবং মুখের রোগও সেরে যায়। বচের গুঁড়া পানির পোকা নাশ করে।পানিতে ১-২ দিন বচ ভিজিয়ে সে পানি দিয়ে মুরগীকে গোসল করালে মুরগীর গায়ের পোকা মারা জায়।বচ টু্থপেস্ট তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।

সেবন বিধি
রুপান্তরিত কাণ্ড ৫০০ মিলিগ্রাম -১ গ্রাম পর্যন্ত।

সতর্কতা
নির্দিষ্ট মাত্রার অধিক সেবন করা উচিৎ না।এতে মাথা ব্যথা হতে পারে।


No comments:

Post a Comment