তুলসী
জগৎ/রাজ্য: Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Asterids
বর্গ: Lamiales
পরিবার: Lamiaceae
গণ: Ocimum
প্রজাতি: O. tenuiflorum
বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়।
হিন্দুবাড়িতে বেশি দেখা যায়, পূজায় ব্যবহার হয়। ভারতে বাণিজ্যক ভাবে চাষ হয়। জুলাই আগষ্ট বা
নভেম্বর ডিসেম্বর এতে মঞ্জরী দেখা দেয়।
ব্যবহার
তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। সর্দ্দি, কাশি, ঠাণ্ড লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহার করা হয়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক।ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। বাংলাদেশে যে চার প্রকার তুলসী গাছ দেখা যায় সেগুলি হলো: বাবুই তুলসী, রামতুলসী, কৃষ্ণ-তুলসী, ও শ্বেত তুলসী।, ঔষধের কাজে একটির পরিবর্তে আরেকটি ব্যবহার করা যায়।
সাধারনত ভেজা মাটিতে তুলসী গাছের জন্ম হয়ে থাকে । তুলসী শাখা প্রধান গুল্ম
জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটির সমস্ত শরীরে
একধরণের সুক্ষ্মতা বিদ্যমান । পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ ৭৫-৯০ সে.মি. হয়। শাখা-প্রশাখা শক্ত ও চতুষ্কোনাকার। তুলসী ঔষধি
ও চিরহরিৎ গুল্মজাতীয় গাছ। পাতা
২ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা। শাখা-প্রশাখার সামনের অংশ থেকে
পাঁচটি ফুলের ডাল বের হয় এবং প্রতিটি
ডালের চারদিকে ছাতার মতো ১০ থেকে ১২টি স্তরে থরেথরে ফুল ধরে। তুলসী ফুল ছোট পার্পেল বা হালকা লালচে বঙের হয়,
সিলিন্ডারাকৃতির স্পাইকে ফুল গুলো
ঘন হয়ে জন্মে থাকে। ফল গুলো ও ছোট, বীজ হলুদ বা
একটু লালচে ধরনের। তুলসী
গাছের ফুল, ফল এবং পাতার একটি ঝাঁজালো গন্ধ আছে। বাংলাদেশ
ও ভারতের সর্বত্র এ গাছ
দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছের গুণাগুণের কথা বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থেও
উল্লেখ আছে।
ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা,
স্কন্দপুরাণে লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায়
বিষ্ণুর ন্যায় ভুমি, পরিবেশ ও আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ণুপ্রিয়া, ঋকবেদে
কল্যাণী বলা হয়েছে । স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু তুলসী দেবীকে
পবিত্রা বৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন।
পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র
উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন
সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের বেলাতে
তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির
জন্য উপকারী।এছাড়া তুলসীগাছ ভুমি ক্ষয়রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে।
তুলসীর স্বাস্থ্যগুন:
১।পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা
সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান ৷ হাগু একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে!!!
মানে পায়খানার ওই সমস্যাটা আর কি!২।জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন ৷ অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান ৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে ৷
৩। কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান৷ এতে উপকার পাবেন৷
৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪/৫ বার তুলসী পাতা চেবান৷
৫। ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান কমে যাবে৷
৬।শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে৷ পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে৷ সেখানে কোন দাগ থাকবে না৷
৭। ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান৷
৮। চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
৯। ডায়রিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
১০। শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
১১। যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
১২। সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
১৩। নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
১৪। চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
১৫।মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ৷
১৬।ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান, কমে যাবে ৷
১৭। ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান ৷
১৮। বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৫-৭ টা তুলসী পাতা চিবান ৷
১৯। প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ৷ উপকার পাবেন ৷
২০। ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান ৷
২১। তুলসী মূল শুক্র গাঢ় কারক। তুলসী পাতার ক্বাথ, এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক। প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের সাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।
২২।কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়। শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনো গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি।
২৩। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়।
২৪ তুলসি পাতার রসে লবন মিশিয়ে দাদে লাগালে উপশম হয়।
২৫। তুলসীর বীজ পানিতে ভিজালে পিচ্ছিল হয়।এই পানিতে চিনি মিশিয়ে শরবতের মত করে খেলে প্রস্রাবজনিত জ্বালা যন্ত্রনায় বিশেষ উপকার হয়।এছাড়াও তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন ।
২৬।মুখে বসন্তের কাল দাগে তুলসীর রস মাখলে ঐ দাগ মিলিয়ে যায়। হামের পর যে সব শিশুর শরীরে কালো দাগ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস মাখলে গায়ে স্বাভাবিক রং ফিরে আসে।
» চর্মরোগে তুলসী পাতা দূর্বাঘাসের ডগার সংগে বেটে মাখলে ভালো হয়ে যায়।
» উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল কমিয়ে হূৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
» হাড়ের গাঁথুনিতে ব্যথা দূর করে এবং শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে অবদান রাখে।
» ঠাণ্ডা মরসুমে ছোট বাচ্চাদের তুলসির পাতা খাওয়ালে কৃমি দূর হবে এবং মাংসপেশি ও হাড় হবে শক্তিশালী।
» জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন ৷ অথবা উপরিউক্ত তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা পানি দিয়ে সেবন করুণ । জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
» কাশি হলে তুলসী পাতা এবং আদা একসাথে পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান ৷ এতে উপকার পাবেন ৷
» ডাইরিয়া হলে ১০ থেকে বারোটি পাতা পিষে রস খেয়ে ফেলুন।
» মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চেবান ।
» আপনার শরীরে যদি কোনরকম ঘা যদি থাকে তাহলে তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান।
» শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
» ত্বকের রোশনি বাড়ানোর জন্য, ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান।
» প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করতে হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন । তুলসি গাছের বীজও যথেষ্ট উপকারী। এর বীজ শুকিয়ে মিহি করে খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ভালো হয়। পুরুষত্বহীনতা দূরীকরণে এই পাতার অবদান অপরিহার্য।
» যদি কখনও বমি কিংবা মাথা ঘোরা শুরু করে, তাহলে তুলসী রসের মধ্যে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
» সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে রস পান করলে খাবার রুচী বাড়ে।
» নিয়মিত তুলসীর রস পানে হৃদরোগেও উপকার পাওয়া যায়।
» চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওই পানি দিয়ে সকালে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
» তুলসীতে Eugenol অধিক পরিমাণে থাকায় তা Cox-2 Inhibitor রূপে কাজ করে বলে তা ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
» Hypoglycemic drugs এর সাথে তুলসী খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
» তেজস্ক্রিয়তার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমুহকে মেরামত করে।
» চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভুমিকা পালন করে।
» তুলসী একশেরও বেশি Phytochemicals (যেমন oleanolic acid, beta caryophyllene ইত্যাদি)বহন করে বলে ক্যান্সার চিকিত্সারয় ব্যবহৃত হয়।
» তুলসীর অ্যালকোহলিক নির্যাস Immune system এর রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
» তুলসী স্নায়ুটনিক ও স্মৃতিবর্ধক।
» শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্নরোগ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাঁপানি প্রভৃতি রোগের নিরাময়ক।
» সর্দি, কাশি, জ্বর, বমি, ডায়ারিয়া, কলেরা, কিডনির পাথর, মুখের আলসারসহ চোখের বিভিন্ন রোগে ইহা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
» দাঁতের রোগে উপশমকারী বলে টুথপেস্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
সাদা
তুলসী গাছটাই সাধারণত চোখে পড়ে তবে কালো তুলসী গাছ ও দেখা যায়, যাকে বলা হয় কৃষ্ণ তুলসী। জুলাই আগস্ট বা নভেম্বর
ডিসেম্বরে এতে মঞ্জুরি দেখা যায়। ভারতে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ করা হয়।
তুলসী বিভিন্ন রকম ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায়। অনেকে বেটে রসটা খান। তুলসী পাতার চা বেশ সুস্বাদু। আসুন জেনে নেয়া যাক শরীরের জন্য তুলসী পাতার উপকারীতা।
তুলসী বিভিন্ন রকম ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায়। অনেকে বেটে রসটা খান। তুলসী পাতার চা বেশ সুস্বাদু। আসুন জেনে নেয়া যাক শরীরের জন্য তুলসী পাতার উপকারীতা।
১. তুলসী গাছের পাতাতে বিভিন্ন ধরণের
কেমিক্যাল বিদ্যামান। যা শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. তুলসী গাছের
পাতাতে বিভিন্ন পলিফেনলিক উপাদান যেমন- অরিএন্টিন এবং ভিচেনিন রয়েছে। এই যৌগগুলোকে ইন-ভিট্রো পরীক্ষাগারে পরীক্ষা
করা হয়। তুলসীতে সম্ভাব্য কিছু
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা যকৃতের জারণ বিকিরণ জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে
তোলে।
৩. তুলসী পাতায়
তেলজাতীয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিছু উপাদান রয়েছে। যেমন- ইউজেনল, চিত্রনেল্লল, লিনালল, চিত্রাল, লিমনেন এবং তারপিনিওল। এসকল তেল রঙ স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এ
সকল যৌগ প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
৪. তুলসী পাতায়
ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে এবং কোন কোলেস্টেরল থাকে না। কিন্তু এতে অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয় পুষ্টি, খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
৫. তুলসী পাতায়
ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও তুলসী পাতায় বি-ক্যারোটিন, লুটিয়ান, জিয়া-জান্থিন এবং ক্রিপ্টক্সান্থিন এর
মত ফ্লাভেনয়েড বিদ্যামান। ভিটামিন এ এর কারনে শ্লেষ্মা ঝিল্লি সুস্থ থাকে এবং ত্বক অনেক ভাল থাকে। ভিটামিন এ সুস্থ দৃষ্টির জন্য সহায়ক
ভূমিকা পালন করে ।
তুলসী পাতায় যে সকল যৌগ রয়েছে তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের সংক্রামণ হতে রক্ষা করে। এর মৌলে প্রাপ্ত উপাদান প্রতিরক্ষামূলক কাজ করতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতায় যে সকল যৌগ রয়েছে তাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের সংক্রামণ হতে রক্ষা করে। এর মৌলে প্রাপ্ত উপাদান প্রতিরক্ষামূলক কাজ করতে সাহায্য করে।
৬.
জিয়া-জান্থিন একটি হলুদ ফ্লাভানয়েড ক্যারোটিনয়েড। যা, রেটিনাকে সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি হতে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে জিয়া-জান্থিন যে সকল ফলমূল ও
শাকসবজিতে রয়েছে, সে সকল খাবার শরীরের বার্ধক্যজনিত সমস্যা রোধে সহায়তা করে।
বিশেষ করে চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
৭. ১০০ গ্রাম
তাজা তুলসী পাতায় ৫২৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন এ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের দৈনিক প্রয়োজনের ১৭৫ শতাংশ। এছাড়াও তুলসী
পাতায় ভিটামিন কে বিদ্যামান। যা
আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করে।
সর্দি-কাশির মহাষৌধ
শিশুদের সর্দি-কাশির জন্য তুলসী পাতা মহাষৌধ হলেও যেকোনো বয়সের মানুষই এ থেকে উপকার পেয়ে
থাকে। শিশুর সর্দি-কাশি থাকলে শিশুকে আদা চা চামচ মধু এবং তুলসী পাতার রস খাওয়ালে কাশি কিছুটা কমবে।
হার্টের অসুখ
তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে। তুলসী পাতা
হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
মানসিক চাপ
তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে। এছাড়াও তুলসী
পাতার রস শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মাথা ব্যাথা
মাথা ব্যাথা ও শরীর ব্যাথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান
মাংশপেশীর খিচুনী রোধ করতে সহায়তা করে।
বয়স রোধ করা
তুলসী পাতার ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে; যা বয়সজনিত সমস্যা কমায়। তুলসী পাতাকে যৌবন ধরে রাখার টনিকও মনে করেন কেউ কেউ।
তুলসী পাতার ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেন্সিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের হিসেবে কাজ করে; যা বয়সজনিত সমস্যা কমায়। তুলসী পাতাকে যৌবন ধরে রাখার টনিকও মনে করেন কেউ কেউ।
রোগ নিরাময় ক্ষমতা
তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী
থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর
করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
পোকার কামড়
তুলসী পাতা হলো প্রোফাইল্যাক্টিভ যা, পোকামাকড় কামড় দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলেকামড়ের
ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের সমস্যা
তুলসী পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তুলসী পাতা বেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও
মসৃণ হয়। এছাড়াও তিল তেলের
মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে ত্বকের যেকোনো সমস্যায় বেশ উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়া ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনো দাগ থাকবে না ৷
collected from below sites
somoyerkonthosor.com
bd24live.com
agrobangla.com
bangalirbarta24.wordpress.com
wikipedia.org
No comments:
Post a Comment