বাসক
বোটানিকাল নাম: Adhatoda
vasica
পরিবার: Acanthaceae
ব্যবহৃত অংশ : পাতা, শিকড়, ফুল ও বাকল
পরিবার: Acanthaceae
ব্যবহৃত অংশ : পাতা, শিকড়, ফুল ও বাকল
বাসক পাতার
মধ্যে Quinazoline Alkaloids, Vasicine - 45-95% (mucolytic ড্রাগ
bromhexine এই উপক্ষার থেকে
উন্নত) Vasicine n-Oxaid , Vasicinone, Deoxyvasicine , Oxyvasicinine ,
Maiontone উপাদান বিদ্যমান
।
বাসক পাতার নির্যাস বেশি নিরাপদ । নিরাপদ বিবেচনা কারণ এর তেলে বিষাক্ততার পরিমান কম ।
বাসক ফুলের মধ্যে B-sitosterol-D:-glucoside , Kaempferol , Kaempferoland , glycosides , Queretin উপাদান বিদ্যমান । শিকড়ে পাওয়া যায় Vasicinolone , Vasicol , Peganine, হাইড্রক্সি oxychalcone , Glucosyl oxychalcone ।
ব্যবহার
1. Abortifacient (অকাল গর্ভপাত সংঘটিত করে)
2. Anti-asthmatic (হাঁপানি উপশম)
3. Antispasmodic ( খিঁচুনি রোধ )
4. Antitussive (কাশি উপশম )
5. Bronchodilator (Bronchials উপশম)
6. Expectorant (শ্বাসযন্ত্রের প্যাসেজ থেকে শ্লৈষ্মিক এবং secretions এর স্রাব উৎসাহিত]
7. Oxytocic ( জরায়ুজ পেশী সংকোচন উদ্দীপক )
বাসক পাতার নির্যাস বেশি নিরাপদ । নিরাপদ বিবেচনা কারণ এর তেলে বিষাক্ততার পরিমান কম ।
বাসক ফুলের মধ্যে B-sitosterol-D:-glucoside , Kaempferol , Kaempferoland , glycosides , Queretin উপাদান বিদ্যমান । শিকড়ে পাওয়া যায় Vasicinolone , Vasicol , Peganine, হাইড্রক্সি oxychalcone , Glucosyl oxychalcone ।
ব্যবহার
1. Abortifacient (অকাল গর্ভপাত সংঘটিত করে)
2. Anti-asthmatic (হাঁপানি উপশম)
3. Antispasmodic ( খিঁচুনি রোধ )
4. Antitussive (কাশি উপশম )
5. Bronchodilator (Bronchials উপশম)
6. Expectorant (শ্বাসযন্ত্রের প্যাসেজ থেকে শ্লৈষ্মিক এবং secretions এর স্রাব উৎসাহিত]
7. Oxytocic ( জরায়ুজ পেশী সংকোচন উদ্দীপক )
ফল সুপারি আকৃতির; বীজে ভর্তি।
বাসক
একটি ভারত উপমহাদেশীয় ভেষজ উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম আড়াটোডা
বাসিকা। ভারত উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্র এটি জন্মে। হিন্দীতে এক বলা হয় ‘আডুসা’, ‘বানসা’ অথবা
‘ভাসিকা’। তবে সংস্কৃত নামের ভিত্তিতে এটির ব্যবসায়িক নাম “বাসক”। আর্দ্র, সমতলভূমিতে এটি বেশী জন্মে।
লোকালয়ের কাছেই জন্মে বেশী।
হালকা
হলুদে রংয়ের ডালপালায়ক্ত ১ থেকে ২ মি. উঁচু গাছ, ঋতুভেদে সর্ব্বদাই প্রায় সবুজ থাকে। বল্লমাকারের পাতা বেশ বড়। গাছটি লম্বায়
১-১৫ মিটার (৩-৫ ফুট) পযর্ন্ত হয়। কচি অবস্থায় গাছের গোড়া সবুজ হলেও পরিণত অবস্থায় হাল্কা
বেগুনী রঙের মত দেখায়। পাতাগুলি লম্বায় ৫-১২ সেন্টিমিটারের মত হয়। ফুল ঘন, ছোট স্পাইকের ওপর ফোটে। স্পাইকের বৃন্ত পাতার চেয়ে
ছোট। স্পাইকের ওপর পাতার আকারে উপপত্র থাকে যার গায়ে ঘন এবং মোটা শিরা থাকে। ফুলের দল
(কোরোল্লা বা পত্রমূলাবর্ত) সাদা বর্ণ। তার ওপর বেগুনী দাগ থাকে। ফল সুপারি
আকৃতির; বীজে ভর্তি।
- বাসক পাতার রস ১-২ চামচ হাফ থেকে এক চামচ মধুসহ খেলে শিশুদের সদির্কাশি উপকার পাওয়া যায়।
- বাসক পাতার রস গোছলের আধা ঘন্টা আগে মাথায় কয়েকদিন মাখলে উকুন মরে যায়।
- আমবাত ও ব্রণশোথে (ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থা) বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
- যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং তার জন্যে শ্বাসকষ্ট হলে বা কাশি হলে বাসক পাতার রস ১-২ চামচ এবং কন্টিকারীরস ১-২ চামচ, ১ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।
- ছোট ইস্তেন্জায় জ্বালা-যন্ত্রনা থাকলে বাসকের ফুল বেটে ২-৩ চামচ মিছরি ১-২ চামচ সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
- জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলি লিটার পানি ফোটাতে হবে। এবং ২৫ মিলি লিটার পর্যন্ত থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে জ্বর এবং কাশি দুইই চলে যায়।
- বাসকের কচিপাতা ১০-১২ টি এক টুকরো হলুদ একসঙ্গে বেটে দাউদ বা চুলকানিতে লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
- বাসকপাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনি ১চামচসহ প্রতিদিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।
- পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ২০ টি থেঁতো করে ২ কাপ পনিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে তাদিযে কুলি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
·
ভেষজ দাওয়াই:
·
শিশুর পেটে কৃমি থাকলে বাসকের ছালের ক্বাথ খাওয়ালে এর উগ্র তিক্ত স্বাদ
কৃমি বের হয়ে যায়।
·
১o. যাদের হাঁপানির টান আছে তারা বাসক
পাতা শুকনো করে, ওই পাতা বিড়ি বা চুরুটের মতো পাকিয়ে এর সাহায্যে
ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়।
·
১১. যাদের গায়ে ঘামের গন্ধ হয় তারা বাসক পাতার রস গায়ে লাগালে দুর্গন্ধ দূর
হবে।
·
১২.বাসকপাতার রস ও শঙ্খচূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রং ফরসা হবে।
·
১৩. এক কলসি পানিতে তিন-চারটি বাসকপাতা ফেলে তিন-চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর
সেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্যবহার করতে পারেন।
·
১৪. পাতার রস নিয়মিত খেলে খিঁচুনি রোগ দূর হয়ে যায়।
·
১৬. বাসক পাতা বা ফুলের রস এক বা দুই চামচ মধু বা চিনি দিয়ে খেলে জন্ডিস
ভালো হয়।
·
১৭. শরীরে দাদ থাকলে বাসক পাতার রস লাগালে ভালো হয়ে যায়।
অন্যান্য উপকারিতা:
বাসকের পাতা সবুজ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পাতা থেকে হলদে রং পাওয়া যায়। বাসক পাতায় এমন
কিছু ক্ষারীয় পদার্থ আছে যায় ফলে
ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
পাতায় কিছু দুর্গন্ধ আছে বলে পশুরা মুখ দেয় না। সেই কারণে চাষ আবাদের জন্য জমি উদ্ধারের কাজে বাসকের পাতা বিশেষ উপকারী।
সাধারণতঃ
বাগানের চারপাশে বেড়ার মত কিংবা রাস্তার ধারে ধারে বড় গাছের নীচে বাসক গাছকে জন্মাতে
দেখা যায়। প্রধানতঃ উঁচু জমিতে যেখানে অন্য ফসলের চাষ প্রায় অসম্ভব এবং যেখানে গাছের গোড়ায় জল
জমবে না এমন জমিতে বাসক গাছের চাষ ভাল হয়। সাধারণতঃ কাটিং থেকেই এই গাছের
বংশ বৃদ্ধি হয়। পরিণত গাছ থেকে কাটিং এমনভাবে কাটতে হবে যাতে প্রতিটি কাটিং- এ অন্ততঃ একটি
করে গাঁট থাকে। গাঁট যুক্ত কাটিং ভেজা বালিতে পুঁতলে ১৫ দিনের মধ্যে গাঁট অংশ
থেকে মূল বের
হবে। প্রতিদিন অল্প অল্প করে জল দিয়ে বালি ভিজিয়ে রাখলে একমাসের মধ্যে চারা তৈরী হয়ে যাবে।
বর্ষা শুরু হলে বিঘা প্রতি ৬ কুইন্টাল বোনমিল মিশ্রিত গোবর সার বা কেঁচো সার জমিতে ছড়িয়ে দিয়ে জমি ভালোভাবে তৈরী করে নিতে হবে। এরপর ১ মাস বয়সের চারা ১ মিটার X ১ মিটার (৩ ফুট X ৩ ফুট) দুরত্বে বসাতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে গাছের গোড়া থেকে ডালপালা বেরিয়ে ঝোপের সৃষ্টি করবে। এক বছরের মাথায় গাছ থেকে পাতা তোলা উচিত এবং তারপর পরের বছরগুলিতে ৬ মাস অন্তর অন্তর গাছ থেকে পাতা তোলা উচিত। নিয়মিত ব্যবধান পাতা তোলা হলে ৬ বছর কিংবা তার বেশী সময় ধরে ফলন পাওয়া যায়। বাসক গাছে তেমন কোন পরিচর্যার দরকার হয় না। ফসল তোলার পর তা বায়ু চলাচলযুক্ত ছায়া জায়গায় শুকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
বর্ষা শুরু হলে বিঘা প্রতি ৬ কুইন্টাল বোনমিল মিশ্রিত গোবর সার বা কেঁচো সার জমিতে ছড়িয়ে দিয়ে জমি ভালোভাবে তৈরী করে নিতে হবে। এরপর ১ মাস বয়সের চারা ১ মিটার X ১ মিটার (৩ ফুট X ৩ ফুট) দুরত্বে বসাতে হবে। ৬ মাসের মধ্যে গাছের গোড়া থেকে ডালপালা বেরিয়ে ঝোপের সৃষ্টি করবে। এক বছরের মাথায় গাছ থেকে পাতা তোলা উচিত এবং তারপর পরের বছরগুলিতে ৬ মাস অন্তর অন্তর গাছ থেকে পাতা তোলা উচিত। নিয়মিত ব্যবধান পাতা তোলা হলে ৬ বছর কিংবা তার বেশী সময় ধরে ফলন পাওয়া যায়। বাসক গাছে তেমন কোন পরিচর্যার দরকার হয় না। ফসল তোলার পর তা বায়ু চলাচলযুক্ত ছায়া জায়গায় শুকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
বাংলাদেশের
সর্বত্র গ্রামাঞ্চলে লোকালয়ের আশেপাশে ঝোপ-জঙ্গলে এ গাছ পাওয়া যায়। অনেক গৃহস্থ
বাড়ির আঙ্গিনার চারপাশে বাসক গাছ লাগিয়ে বেড়া দেন। দেশজ চিকিত্সায় কাশি ছাড়াও বিভিন্ন রোগে এর
ব্যবহার রয়েছে। অম্লপিত্ত, কৃমি,
রক্তশ্রুতি শ্বাসকষ্ট, গাত্র দুর্গন্ধ, খোস পাঁচড়া, অর্শ, বসন্ত,
টিউমার এবং জীবাণুনাশে এমনকি গায়ের রং
ফর্সাকরণেও বাসক পাতা ব্যবহারের কথা প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। খোকশিয়া গ্রামের
জনৈক শিক্ষক জানান, তিনি
সব রোগেই
বাসক পাতার চিকিত্সা দেন। তার বিশ্বাস, বাসক
পাতা সর্ব রোগের মহৌষধ। আধুনিক চিকিত্সার দোর্দন্ড প্রতাপে বিনষ্ট হচ্ছে
গ্রাম বাংলার আবহমান
চিকিত্সা পরম্পরা। সে পথেই বিস্তৃতির অতলে বাসক পাতা হারিয়ে যাচ্ছে।
Thanks . Very helpful and fine .
ReplyDeleteThanks for the update. It's a great update.
ReplyDelete