প্রচলিত নাম :বহেড়া (Belliric myrobalan)
বৈজ্ঞানিক নাম : Terminalia bellirica (Gaertn Roxb).
ব্যবহৃত অংশ : ফলের খোসা, ফুল।
প্রধান কাজ : পাকস্থলী ও মস্তিষ্কের সক্তিবরধক,রুচিকারক
যে সমস্ত রোগে কার্যকর
পাকস্থলীর দুর্বলতা, হজমশক্তি বৃদ্ধি ও ক্ষুধামন্দায় ৫-৬ গ্রাম খোসাচূর্ণ আহারের পর দিনে ২ বার পানিসহ সেবন করলে পাকস্থলীর দুর্বলতাহাস পায়, হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষুধামন্দা দূর হয়।
মস্তিষ্কের দুর্বলতা ও মাথা ব্যথায় ৫ গ্রাম খোসাচুর্ণ মধুসহ দিনে ২-৩ বার সেবন করলে মস্তিষ্কের দুর্বলতা কমে যায় এবং মাথা ব্যথা ভাল হয়।
কোলেস্টেরল কমাতে ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকি, হরিতকী ও বহেড়া এর প্রতিটির সমপরিমাণ গুড়ার শরবত কোলেস্টেরল কমাবার অর্থাৎ প্রেসার বা
রক্তচাপ কমাবার মহৌষধ। ত্রিফলা কোলেস্টেরল কমাবার ক্ষেত্রে অনেক বেশী ফলপ্রসু। বলা হয়েছে দ্রব্য গুণের দিকে দিয়ে হরিতকীই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে আমলকি এবং তৃতীয় স্থানে বহেড়া।
দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৫ গ্রাম খোসাচুর্ণ ও ৩-৪ চা চামচ ভূংগরাজের নির্যাস একসাথে মিশিয়ে সকালে খালিপেটে সেবন করলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
আমাশয় রোগে বহেড়া চূৰ্ণ ২-৩ গ্রাম সকাল বিকাল সেবনে আমাশয় ও রক্ত আমাশয় আরোগ্য হয়।
অতিসার / ডায়রিয়া রোগে ২৫০ মিলি গ্রাম খোসার চূর্ণ সেবন করলে ডায়রিয়া ভাল হয়ে যায়।
টাক মাথায় বহেড়া বীজের শাস পানিসহ মিহি করে বেটে অকাল টাকে চন্দনের মত ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে এবং চুলের গোড়া মোটা হবে।
শ্বেতী রোগে বহেড়া বীজের শাসের তেল ব্যবহারে শ্বেতী রোগ আরোগ্য হয়।
বাতের ব্যথায় বহেড়ার বীচির তেল বাতের চিকিৎসায় মালিশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
দীর্ঘস্থায়ী জ্বর ও শ্বাসনালীর প্রদাহে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর ও শ্বাসনালীর প্রদাহে বহেড়া ব্যবহার করা হয়।
অকালপক্কতায়- যাদের অল্প বয়সে চুলে পাক ধরেছে, তারা বীজ বাদে বহেড়া ১০
গ্রাম পরিমাণ বেটে, ১ কাপ পানিতে মিশিয়ে ছেকে, সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে উপকার পাবে। তবে এটা দুপুরের দিকে করাই ভাল নইলে মাথায় ঠান্ডা বসে সর্দি হতে পারে।
সেবনবিধি
খোসাচুর্ণ ৫ গ্রাম ।
হোমিওপ্যাথি ৫-৬ ফোটা মাদার টিংচার দিনে ৩-৪ বার সেব্য।
সতর্কতা
নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবনে কোনরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।
হাসি হার্টের একটি ভাল ঔষধ
No comments:
Post a Comment